বেশ কিছুদিন যাবত ডক্টর ইউনুস সাহেব এক সাক্ষাৎকারে “রিসেট বাটন” শব্দদ্বয় বলেছিলেন- যা নিয়ে নেটিজেনদের ম্যাতকার করতে করতে মস্তিষ্ক এবং গলায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা যারা কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করি, তারা সবাই “রিসেট বাটন” শব্দের সাথে পরিচিত। এই রিসেট বাটনটা কেনো দরকার? এটা থাকার যৌক্তিকতা কী?
উত্তরঃ যদি কম্পিউটারের ডেটা সিস্টেম কিংবা মোবাইল ফোন হ্যাং করে, যদি কোনো এরর বা ইভেন্ট পেন্ডিং হয়ে থাকে, যাকে বলে কম্পিউটার ফ্রোজেন/ফ্রিজ হয়ে যায়, বা ম্যালফাংশন করতে থাকে, আর কোনো উপায় না থাকে চালানোর মতো- তখন প্রয়োজন হয় রিসেট বাটনের।
রিসেট বাটন সিস্টেমকে রেস্টোর করে, ডিভাইসকে রেস্টোর করে, পূর্বের অরিজিনাল অবস্থা ফিরিয়ে আনে, একটা কন্ট্রোলড উপায়ে পরিবেশ নরমাল করে, সিস্টেমকে কমফোর্ট দেয়, ছন্দ ফিরিয়ে আনে। কাজে গতিশীলতা আসে। ডিভাইস স্বাভাবিক ভাবে চলতে থাকে।
রিসেট বাটন পুরনো ফাইল বা ডেটা মুছে ফেলে না। বরং ত্রুটি সরিয়ে নতুন করে সিস্টেম বা ডিভাইস রিস্টার্ট করে।
কিছু কিছু ডিভাইস বা সিস্টেমে “ফ্যাক্টরি রিসেট” বলে একটা অপশন থাকে। এই বাটন পুরনো সবকিছু (সব ধরণের ইউজার ডেটা) মুছে দেয়, তা ৭১, ৭৫, ৯০, যাই হোক না কেনো। এখানেই পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনার উচ্ছিষ্ট ভোগী ভক্সচোদ গুলোর নলেজ ক্রাশ করেছে। সুতো কাটা ঘুড্ডির মতো গোত্তা খেয়ে পরেছে! এরা রিসেট বাটন আর ফ্যাক্টরি রিসেট এক করে ফেলেছে!
ড. ইউনুস রিসেট বাটনের কথা বলেছেন। ফ্যাক্টরি রিসেটের কথা বলেননি? শেখ হাসিনা সবকিছু লুটেপুটে খেয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের অবকাঠামো ভেংগে দিয়ে পালিয়েছে। একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশকে রিসেট মানে পুনর্গঠন করতে হবে না?
তাহলে বেকুবরা লাফাচ্ছে কেনো বলেন দেখি? প্রতিটা আওয়ামী লীগার অস্থির হয়ে গিয়েছে- মুক্তিযুদ্ধ, একাত্তর, চেতনা ইত্যাদি নিয়ে? তাদের অনেকের পোস্ট দেখলাম। তারা তাবাসসুম ঊর্মি নামের মনোবিকারগ্রস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বক্তব্য চমৎকৃত হয়ে শেয়ার করছে যেন- মেয়েটা দারুণ এক আবিস্কার করেছে। সাবা, তুষ্টি, শমী, নিপুণ শাওন গংদের মতো অর্ধ-শিক্ষিত বাজারীরা না হয় ব্যাবসা ফিরে পাওয়ার জন্য চিল্লাচ্ছে, কিন্তু গোলাম মাওলা রনি, এডভোকেট জেড আই খান পান্না এদের জ্ঞানও কি হাঁটুতে নেমেছে? তারা তো এই ম্যাজিস্ট্রেট মেয়ের মতো জিপিএ ফাইভ প্রজন্ম না! এই মেয়ে অর্ধশিক্ষিত হবে, স্বাভাবিক, সে জানে না সে সরকারের অংশ। এই মেয়ে বিশেষ বিবেচনায় বিসিএস হবে, স্বাভাবিক। কিন্তু এই রনি, পান্না এবং তাদের অনুসারীরা গণহারে বেকুব হবে, এটা কেমন কথা! আসলে এদের প্রত্যেকের ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ, কাজেই ভালো কিছু প্রত্যাশা করে লাভ নাই।
অন্যদিকে, যারা ফেসবুক-ব্লগে দুই চার লাইন লিখে নিজ গোয়ালের স্বজাতিদের থেকে কয়েকটা লাইক কমেন্ট পেয়ে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, এক্টিভিস্ট ভেবে গদগদ, তাদেরকে বলবো- বেকুবি বাদ দিয়ে আলোর পথে আসুন। ‘রিসেট’ ও ‘ফ্যাক্টরি রিসেট’ বুঝুন। ‘রিসেট বাটন’ আর ‘ফ্যাক্টরি রিসেট’ এর পার্থক্য বুঝতে মোবাইল ফোন / কম্পিউটার সারাইয়ের দোকানে যেয়ে চেয়ার টেবিল মোছার কাজের পিচ্চি ছেলেটার কাছ থেকে পার্থক্যটা শিখে নেবেন। এবার সংস্কার করুন নিজের। শয়তানি বাদ দিন। একাত্তর দেখেননি, মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি কিন্তু একাত্তর, স্বাধীনতা মীমাংসিত সেটা অন্তত বুঝেন- সেটা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নাই। কিন্তু গত পনেরো বছর দেখেছেন, চব্বিশ নিজের চোখে দেখেছেন, তবুও তা প্রমাণিত না বলে শয়তানি করেন। এই জ্ঞান নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেসি করার দরকার নেই- যেহেতু আপনারা কখনও মানুষ ছিলেন না, ছিলেন এবং আছেন দ্বিপদী জানোয়ার তাই- আবার নয়, “এবার তোরা মানুষ হ”!
#Yunus